
অলংকরণ : জীবন শাহ
শেষ চিহ্ন
---------------
তোমার ঠোঁটে কবিতার শেষ চিহ্ন
রেখে যাচ্ছি আমি
পৃথিবীর সাধ্য কী ? কে আর পারবে
কবির স্মৃতিটুকু মুছে দিতে!
শেষবারের মতো তোমাকে
জাগিয়েও নিঃশেষিত হইনি আমি
চুমুর বৈভবে কবিতার শরীরে
গদ্যছন্দের মনস্তত্ত্ব মিলিয়ে দিয়েছি
কেউ তাকে পারবে না আর স্পর্শ করতে।
আমি একা শীতের অরণ্যে
------------------------------------
১.
আনন্দ নেই, নেই কোলাহল
শুধু তোমার কাছে স্বপ্নটুকু
রাখতে গিয়ে
ছুটছি আমি শীতের অরণ্যে
২.
শান্তি! শান্তি!
কোথায় তাকে খুঁজে পাই
শান্তি খুঁজতে নগরপ্রান্তে
ছুটছি তবু নেই কোথাও
কাঁটাঝোপের ভেতর থেকে
শান্তিমুখী শীতের অরণ্যে
গোলাপগুচ্ছ উঁকি মারে
হঠাৎ তাতেই মন বসে যায়!
হারানো মুখ, হারানো মোহর
-------------------------------------
সারাজীবন যেমন করে চেয়েছি
তেমন করে পাইনি কোনো কিছুই
তাই নিয়তিতে আমার বিশ্বাস নেই
ভাবনার ঘরে বসে থেকে শুধু
দ্যূতিমান কোনো এক সন্ন্যাসিনীকে
সাজিয়েছি মনে মনে
সে তো আমার অবদমিত মন
রক্তে নেই, মাংসে নেই
সে থাকে কল্পনার ঘরে
নিয়তিতে আমার বিশ্বাস নেই
এখন যখন নির্ভার হয়ে ভাবছি
ভুলে যাব সবই নিভৃত যাপন
তখন জ্যোৎস্না ধোয়া চাঁদ
কামিনীর গন্ধভরা মন
কেমন যেন সজীব হয়ে ওঠে
সহসা বাস্তবে এসে দাঁড়ায়
না পাওয়া যত কষ্টসকল
হারানো মুখ, হারানো মোহর
আমি এখানে একা
--------------------------
সারাক্ষণ অনন্ত নক্ষত্রবীথির
মতো আমি এখানে একা
একা! একা!
শীতের মধ্যে রোদ ছড়িয়ে
ভুলেই থাকি ভুলে থাকতে চাই
তবু বুকের ভেতর বিষণ্ন হয়ে
রক্ত উছলে ওঠে
পাণ্ডুলিপি থেকে উঠে আসা
একটা মুখ কেবলই লাবণ্য নিয়ে
ছায়ার মতো থাকে খুব পাশে
জা,ই