বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ , ১৩ চৈত্র ১৪৩০

modhura
Aporup Bangla

দেশীয় শ্রমঘন বিড়ি শিল্পকে বাঁচাতে হবে: রংপুর সিটি মেয়র

দেশজুড়ে

অপরূপ বাংলা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:১১, ২১ মে ২০২৩

সর্বশেষ

দেশীয় শ্রমঘন বিড়ি শিল্পকে বাঁচাতে হবে: রংপুর সিটি মেয়র

দেশীয় শ্রমঘন বিড়ি শিল্পকে বাঁচাতে হবে: রংপুর সিটি মেয়র

রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেছেন, বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীর ষড়যন্ত্র থেকে দেশীয় প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্পকে বাঁচাতে হবে। বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে প্রায় ২০০টি বিড়ি কারখানা রয়েছে। এসব বিড়ি কারখানায় লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। অথচ বহুজাতিক কাম্পানীর ষড়যন্ত্রে দেশের প্রাচীন শ্রমঘন এ শিল্পটি আজ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে এসে পৌঁছেছে। আগামী বাজেটে বিড়ির শুল্ক কমিয়ে এই শিল্পটিকে রক্ষা করতে হবে।

শনিবার বিকালে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন বৃহত্তর রংপুর অঞ্চল আয়োজিত বিড়ি শ্রমিক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।    

রংপুর (হারাগাছ) বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলুর সঞ্চালনায় জনসভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন (বিএসসি)। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান।

জনসভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেন, লুৎফর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, সহ-সম্পাদক জামিল আকতার, সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।

জনসভায় আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির শুল্ক ১৮ টাকা থেকে ২ টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা করা, বিড়ি শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানীর আগ্রাসন বন্ধ করা এবং বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীর নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধ করার দাবি জানান শ্রমিকরা।

সভায় বক্তরা বলেন, দেশের অর্থনীতিতে দেশীয় বিড়ি কারখানার মালিকদের অবদান অপরিসীম। এই শিল্পের মালিকরা এ দেশে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। অথচ বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানী ও দেশের কিছু এনজিও এই শিল্পকে ধ্বংস করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিড়ির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হলো নিম্নস্তরের সিগারেট। বর্তমানে নিম্নস্তরের সিগারেট বাজারের ৭৫ শতাংশ দখল করে আছে। এসব নিম্নস্তরের সিগারেটের সিংহভাগই বিদেশি কোম্পানির। দেশীয় শ্রমঘন বিড়ি শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষার্থে বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীর নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধ করতে হবে। একইসাথে আগামী বাজেটে বিড়ির শুল্ক ১৮ টাকা থেকে ২ টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা করতে হবে এবং শ্রমিকদের অন্নসংস্থানের অন্যতম মাধ্যম বিড়ি শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করতে হবে।

এছাড়া ব্রিটিশ-আমেরিকাসহ যেসব দেশ আমাদের প্রশাসনের উপর শ্যাংসন দিবে দেশবাসীকে তাদের সিগারেটসহ সকল পণ্য বর্জনের আহবান জানান বক্তরা।

জা. ই

সর্বশেষ