
ছবি- ইন্টারনেট
৫৭ বছর বয়সে দুরন্ত গতিতে ছুটছেন শাহরুখ খান। ‘পাঠান’ বেশে ঝড়ের গতিতে এক এক করে মাইলফলক পেরোচ্ছেন বলিউড কিং। প্রবেশ করে গেলেন ২০০ কোটির ক্লাবে (সারা বিশ্বে ব্যবসার নিরিখে)। দু’দিনে ২৩১ কোটি টাকার আয়। এবার দৌড় ৩০০ কোটি ক্লাবের দিকে।
ট্রেড অ্যানালিস্টরা ভেবেছিলেন, প্রথম পাঁচদিনেই এই ছবি ব্যবসা করে ফেলতে পারে ২০০ কোটি। কিন্তু ছবির মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই বোঝা যায়, সব রেকর্ড প্রায় ভেঙে দিতে বসেছে এই ছবি। শুধু ভারতেই নয়, 'পাঠান' রীতিমতো বক্স-অফিসে কালেকশনের সুনামি এনেছে পৃথিবীর সিনেমাবাজার জুড়েই।
সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত যশরাজ ফিল্মসের এই ছবি এবার পিছনে ফেলে দিল এস এস রাজামৌলীকেও। দক্ষিণী পরিচালকের ছবি ‘বাহুবলী ২’ এবং যশের ‘কেজিএফ ২’-এর হিন্দি ডাবড ভার্সন আজ পর্যন্ত বক্স অফিস কালেকশনের তালিকায় প্রথম দুই স্থান দখল করেছিল। তাদেরও টেক্কা দিল শাহরুখের এই ছবি।
১০০টি দেশে ৮ হাজার পর্দায় দেখানো হচ্ছে শাহরুখ খানের ছবি, তার মধ্যে ভারতেই ৫ হাজার প্রেক্ষাগৃহে। হিন্দি ছবি প্রদর্শনের ক্ষেত্রেও এতটা ব্যাপ্তি এই প্রথম। তুলনা টানলে একমাত্র এসএস রাজামৌলী পরিচালিত দক্ষিণী ছবি ‘আর আর আর’-এর কথা মনে পড়তে পারে। সে ছবি বিশ্ব জুড়ে ১০ হাজার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল।
কী কী নজির গড়ল শাহরুখ-দীপিকা-জন আব্রাহামের 'পাঠান' ?
১। প্রথম হিন্দি ছবি, যা দেশে এক দিনে ৭০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে।
২। এই প্রথম কোনো হিন্দি ছবি এতো বেশি জায়গায় দেখানো হচ্ছে।
৩। ছুটির দিনে মুক্তি পায়নি এমন ছবি হিসাবেও প্রথম দিনে সর্বোচ্চ আয় করেছে ‘পাঠান’।
৪। শাহরুখ খানের প্রথম ছবি, যা প্রথম এবং দ্বিতীয় দিনে সর্বোচ্চ অঙ্ক ছুঁয়েছে।
৫। দীপিকা পাড়ুকোন এবং জন আব্রাহামের ক্ষেত্রেও প্রথম ছবি, যা মুক্তির দিন এবং তার পরের দিনে অধিক আয় করেছে। একই কৃতিত্ব যশরাজ ফিল্মস এবং পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দেরও।
শাহরুখের ‘পাঠান’ ঢেউ আছড়ে পড়েছে ভারতের ভূস্বর্গ কাশ্মীরের বুকেও। কাশ্মীরের প্রেক্ষাগৃহের বাইরে ঝুলছে ‘হাউসফুল’ বোর্ড। ৩২ বছর পর এমন দৃশ্য দেখা গেছে সেখানে। সমালোচকেরা বলছেন, ‘পাঠান’ ছবির মাধ্যমে বলিউডের বাদশা প্রকৃত বাদশার মতোই বড় পর্দায় ফিরেছেন।
‘পাঠান’ ছবির হাত ধরে বলিউডেরও সুদিন ফিরেছে বলে মন্তব্য করছেন সিনে বিশ্লেষকরা। তাই এই ছবি শুধু কিং খানের ডুবন্ত ক্যারিয়ার নয়, বলিউডকেও ভরাডুবির হাত থেকে রক্ষা করবে হয়তো।
এনসি/