বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ , ১৩ চৈত্র ১৪৩০

modhura
Aporup Bangla

নক আউট পর্বে খেলবে সেনেগাল

খেলাধুলা

অপরূপ বাংলা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:০৯, ৩০ নভেম্বর ২০২২

সর্বশেষ

নক আউট পর্বে খেলবে সেনেগাল

সেনেগালের জয়ের উল্লাস

ইকুয়েডরকে ২-১ গোলে হারিয়ে স্বপ্নের শেষ ষোল নিশ্চিত করল সেনেগাল। কাতার বিশ্বকাপে প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে নক আউট পর্বে উঠল দলটি। ফলে গ্রুপ 'এ' থেকে নেদারল্যান্ডস ও সেনেগালের বিশ্বকাপ মিশন অব্যাহত রইল।

মঙ্গলবারের ম্যাচে প্রথমার্ধেই ইসমাইলা সারের গোলে ইকুয়েডরের বিপক্ষে এগিয়ে যায় সেনেগাল। পেনাল্টি থেকে গোলটি করেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মইসেস সাইসদোর গোলে সমতায় ফেরে ইকুয়েডর। কিন্তু কালিদু কৌলিবালির গোলে আবারো ম্যাচে লিড পেয়ে যায় যায় সেনেগাল। ফলে ২-১ গোলে ম্যাচটি জিতে নেয় আফ্রিকার সিংহরা।

ম্যাচের বেশিরভাগ সময় বল ইকুয়েডরের দখলে থাকলেও আক্রমণে সবচেয়ে বেশিবার গিয়েছে সেনেগালই। প্রথমার্ধেই ইকুয়েডরের গোলপোস্ট লক্ষ্য করে ১০বার শট নিয়েছিল সেনেগাল। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে ফেরার চেষ্টা করেছিল ইকুয়েডর। শেষ ষোলো নিশ্চিত করার জন্য আজ কাতারের খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে `এ` গ্রুপের খেলায় মুখোমুখি হয় দল দুটি।

ড্র করলেও ইকুয়েডরের শেষ ষোলতে খেলার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু নক আউটে উঠতে জয়ের বিকল্প ছিল না সেনেগালের। আর সেজন্যই বুঝি মরা-বাঁচার ম্যাচের শুরু থেকেই ইকুয়েডরের ওপর চড়াও হয় সেনেগাল। ম্যাচের ৩ মিনিটের মাথাতেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল দলটি। ইসমাইল জ্যাকবস প্রেসিয়াদোকে কাটিয়ে বারের সামনে গিয়ে বল দেন ইদ্রিসা গুইয়েকে।

কিন্তু ইদ্রিসার শটটি বারের পাশ দিয়ে চলে যায়। ৯ মিনিট সময়ে আবারো আক্রমণে যায় সেনেগাল। ইউসুফ সাবালির পা থেকে পেনাল্টি স্পটে বল রিসিভ করেন বৌলায়ে দিয়া। সেখান থেকে তিনি গোলকিপারের সাথে ওয়ান টু ওয়ান পজিশনে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন। ১২তম মিনিটে আবারো খুব কাছাকাছি এসে গোলের সুযোগ মিস করে দলটি। মাঠের ডানপ্রান্ত থেকে কাট ইনসাইড করে পারভিস ইস্তোপিয়ানকে কাটিয়ে গোলবার লক্ষ্য করে শট নেন ইলিমান এনদিয়ায়ে। এই শটটিও বারের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়।

২৪ মিনিটে আবারো সেনেগালের আক্রমণ। ইকুয়েডরের রাইটব্যাক প্রিসিয়াডোকে হারিয়ে বল নিজের পায়ে রাখেন ইসমাইল সার। প্রিসিয়াডো তাল সামলে পড়ে গেলে মাঠের বাম দিক থেকে বল নিয়ে দৌড়ে যান তিনি। শরীর বাঁকিয়ে শটটি নিলেও শেষ পর্যন্ত বল বারের পাশ দিয়ে চলে যায়। ৩৫ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে সতীর্থের ক্রস ডি-বক্সে হেডের সাহায্যে জালে জড়ানো চেষ্টা করে ইদ্রিসা গেয়ি।

কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হন গোল করতে। এভাবে ম্যাচের ক্ষণেক্ষণে একের পর এক শটে কেঁপে উঠেছে ইকুয়েডরের রক্ষণভাগ। প্রথমার্ধেই ১০বার শট নিলেও শট অন টার্গেটে রাখতে পারছিলেন না সেনেগালের ফরোয়ার্ডরা। কিন্তু তাদের ভাগ্য খুলে যায় ৪২ মিনিটের মাথায়। ডি বক্সের ভেতর ইসমাইলা সারকে ফাউল করে বসেন ইকুয়েডরের ডিফেন্ডার পিয়েরো হিনক্যাপিয়ে। ফলে পেনাল্টি পায় সেনেগাল। স্পট কিক থেকে লক্ষ্যভেদ করেন এই সেনেগালিজ মিডফিল্ডার। ফলে প্রথমার্ধে ১-০ তে এগিয়ে যায় পশ্চিম আফ্রিকার দলটি।

দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধার বজায় রাখে সেনেগাল। তবে এবারে গুছিয়ে উঠে আক্রমণে যাওয়ার সুযোগ পায় ইকুয়েডরো। ম্যাচের ৬৬তম মিনিটে ইদ্রিসা গুইয়ে প্রেসিয়াডোকে চ্যালেঞ্জ করলে ফ্রি কিক পায় ইকুয়েডর। ফেলিক্স তোরেসের নেয়া সেই ফ্রি কিক কাজে লাগিয়ে গোল করেন মইসেস সাইসেদো। ফলে সমতায় ফেরে দলটি। কিন্তু ম্যাচে ফিরতে সময় লাগে নি সেনেগালের। তিন মিনিট পরেই ফ্রি কিক থেকে ইদ্রিয়া গুইয়ার বাড়ানো শট রিসিভ করে ইকুয়েডরের জালে বল পাঠিয়ে দেন। সেনেগালের ডিফেন্ডার কালিদু কৌলিবালি। ফলে আবারো এগিয়ে যায় দলটি। এরপর আরো দু-একবার শট নিলেও তাতে ফল পায়নি ইকুয়েডর। ফলে ২-১ গোলে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হচ্ছে দলটিকে।

এনসি/

সর্বশেষ