শিক্ষক মো. নুর হোসেন
তিনি মানুষ গড়ার কারীরগর। জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে রেখেছেন অনন্যতার ছাপ। শুধু রাজধানী, সাভার, আমিন বাজার, গাবতলী, মিরপুর নয় তার কীর্তি ছড়িয়ে আছে সারা বাংলাদেশে। মহান শিক্ষকতার জীবনে তিনি তৈরি করেছেন হাজার হাজার কৃতি শিক্ষার্থী। যাঁরা স্ব-স্ব ক্ষেত্রে দেশের জন্য অবদান রেখে চলেছেন। এই মহান শিক্ষকের নাম মো. নুর হোসেন। আজ তার স্বার্থক শিক্ষকতা জীবনের অবসর গ্রহনের দিন।
সেই ১৯৮৩ সালের ১লা জুলাই প্রবেশ করেছিলেন শিক্ষকতার জীবনে। শুরুর দিন থেকে ১৯৯১ সালে ২৬শে মার্চ পর্যন্ত নলসোন্দা উচ্চ-বিদ্যালয়ে এবং ১৯৯১ সালের ২৭-মার্চ হতে ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ মীরপুর মফিদ- ই-আম স্কুল এন্ড কলেজে সিনিয়র (গণিত) শিক্ষক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আজ অবসরে যাচ্ছেন। তার অবসরে এলাকার মানুষ যেন বলতে চাইছে রবি ঠাকুরের ভাষায়, ‘যেতে নাহি দেব হায়, তবুও যেতে দিতে হয়।’ সকলের মনে বিষাদের ছায়া। ব্যথাতুর হৃদয় নিয়ে সবাই গাইছে বিদায়ের গান।
প্রকৃতির নিয়মে তিনি আজ প্রিয় কর্মস্থল, শিক্ষার্থী, সহকর্মী, স্কুলের আঙ্গিনা ছেড়ে অবসরে চলে যাচ্ছেন। হৃদয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মানুষের অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। এলাকার মানুষেরা জানান, এমন ভালো আর দায়িত্বশীল শিক্ষক যিনি পিতার মতো, প্রিয় অভিভাবকের মতো শিক্ষার্থীদের যত্ন করে পড়িয়েছেন, শিখিয়েছেন জীবনের পথ চলার মন্ত্র, তেমন শিক্ষক আর সহজে পাওয়া যাবে না। তার জন্য আমরা সবাই দোয়া করি যেন, বাকি জীবন তার শান্তিতে কেটে যায়।
বিদায়েরে দিনে শিক্ষক মো. নুর হোসেন বলেন, এই দীর্ঘ শিক্ষকতার সময়ে আমি আমার মেধা ও মননশীলতার মাধ্যমে শত শত শিক্ষার্থীদের আলোর পথ দেখিয়েছি। এদের মধ্য অনেকেই উচ্চ-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যানে নিরালস পরিশ্রম করছে। আবার অনেকেই রাজনৈতিক বড় নেতা হয়েছে। তবে যে -যেখানেই থাকুক না কেন তারা সবাই যখন আমাকে হাই-হ্যালো জানায়, খোঁজ খবর নেয়, তখনই আমার গর্বে মন ভরে যায় আর তখনই আমি নিজেকে স্বার্থক মনে করি। আর তখনি মনে পরে যায় সেই অমোঘ বাণী, "আজ হতে চির হল শিক্ষা গুরুর শির সত্যি তুমি মহান তুমি বাদশা আলমগীর।"
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক। তার বড় ছেলে এস এম নাসির বিন হোসাইন মাল্টিমিডিয়া নিউজপোর্টাল অপরূপ বাংলার সম্পাদনা পরিষদের চেয়ারম্যান। সকলেই প্রিয় এই শিক্ষককে তার অবসর জীবনের শুভ কামনা এবং পত্রিকার পক্ষ থেকে তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
জা,ই