বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪ , ২৪ আশ্বিন ১৪৩১

modhura
Aporup Bangla

বিজয় সরণিতে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়

অপরূপ বাংলা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:৪০, ১০ নভেম্বর ২০২৩

সর্বশেষ

বিজয় সরণিতে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

রাজধানীর বিজয় সরণিতে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে এই ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ উদ্বোধন করেন তিনি। এই প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য রয়েছে।

এছাড়া এই প্রাঙ্গণে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরা হয়েছে।

প্রাচীরের ম্যুরালে খোদাই করে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান এবং ভাষা আন্দোলন ও মুক্তি সংগ্রামের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।

উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরো মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন। পরে তিনি উপস্থিত স্কুল শিক্ষার্থী এবং সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন। বিজয় সরণিতে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার এই ভাস্কর্য এটা শুধু একটি ভাস্কর্য নয়, এটি একটি ইতিহাস। আমাদের দেশকে জানার ইতিহাস।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতির পিতার অবদান ও ত্যাগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এই বাঙালি জাতিকে আর্থ-সামাজিক মুক্তি দেওয়ার জন্যই ছিল জাতির পিতার সংগ্রাম। তিনি তার নিজের জীবনটাকে উৎসর্গ করেছিলেন এই দেশের মানুষের জন্য।

তিনি বলেন, ১৯৪৮ সালে মায়ের ভাষা বাংলার ভাষার অধিকার যখন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র। তখন থেকে তিনি তার প্রতিবাদ করেন এবং আন্দোলন গড়ে তোলেন। সেখানে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয় এবং মাতৃভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা করার সংগ্রাম শুরু হয়। সেই সংগ্রামের পথ বেয়েই কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা অর্জন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এই স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং যুদ্ধের জাতির পিতা আহ্বান করেছিলেন ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে। যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে সংগ্রাম করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ সেই আহ্বানে সাড়া দিয়েছিলেন। সেভাবে অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে এবং আমরা বিজয়ী হই।

বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার উন্নয়নের কথা তুলে ধরে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রত্যয় নিতে হবে আজকের বাংলাদেশ যে উন্নত-সমৃদ্ধ হয়েছে যতদূর; আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এটা ধরে রেখে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

আজকের শিশুরা আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের আজকের ছোট শিশুরা আগামী দিনের সৈনিক, যারা স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিনে এবং বাংলাদেশ পরিচালনা করবে। সেভাবেই তোমরা নিজেদের তৈরি করবে।

শিক্ষা অর্জনে শিক্ষার্থীদের মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা কথা মনে রাখতে হবে, শিক্ষাই জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ। টাকা-পয়সা, ধন-দৌলত, কোনো কিছুই সম্পদ না। (আসল) সম্পদ হচ্ছে একমাত্র শিক্ষা। শিক্ষা যে গ্রহণ করবে ভালো ভাবে, এটি কেড়েও নিতে পারবে না, ডাকাতিও করতে পারবে না। এটি নিজের কাছে থেকে যাবে। আর শিক্ষা থাকলে পরে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করা যাবে। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামসহ সামরিক-বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শ্রেণির স্কুল শিক্ষার্থী।

জা. ই

সর্বশেষ

জনপ্রিয়