শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৪ চৈত্র ১৪৩০

modhura
Aporup Bangla

আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিচ্ছে: মির্জা ফখরুল

রাজনীতি

অপরূপ বাংলা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৫০, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩

সর্বশেষ

আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিচ্ছে: মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে যে, তারা দেশের বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ মুখে বলে একটা, কাজ করে আরেকটা।’ আজ রোববার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ১২ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপির চেয়ারম্যান মো. আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের যুগ্ম মহাসচিব মো. তফাজ্জল হোসেন।

বৈঠকে বিএনপির নেতাদের মধ্যে লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান ও আব্দুল আউয়াল মিন্টু উপস্থিত ছিলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বৈঠকে দেশের চলমান রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের চলমান যুগপৎ আন্দোলনকে বেগবান করতে ভবিষ্যতে কী কর্মসূচি হওয়া উচিত আর কী ধরনের কর্মসূচি নেওয়া যেতে পারে এবং কীভাবে জনগণকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করা যেতে পারে এসব নিয়ে কথা বলেছি।

 তিনি বলেন, ‘আমরা এই অনির্বাচিত সরকার পতনের লক্ষ্যে যে যুগপৎ আন্দোলন করছি। সামনের দিকে আরও জনগণকে বেশি সম্পৃক্ত করে আন্দোলনকে বেগবান করে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনা, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আমাদের লাখ লাখ নেতাকর্মীদের মামলার আসামি থেকে প্রত্যাহার ও অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবিতে একমত হয়েছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যখন আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছিল, তখন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়ে বাংলাদেশে একটি চিরস্থায়ীভাবে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হলো এবং দেশে একটি অস্থিতিশীল অনিশ্চয়তা এবং সহিংসতার দ্বার উন্মুক্ত করা হলো। যার প্রমাণ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন।’ এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা আমাদের সমাবেশের তিন দিন আগে থেকেই স্ট্রাইক করে। পুলিশকে নামিয়ে দিয়ে রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে মোবাইল ফোন পর্যন্ত তারা চেক করতে থাকে।

গত ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ এর আগে পুলিশ দিয়ে তারা ১৫ দিন আগে থেকেই বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের কৌশল। বিরোধীদলকে তারা কর্মসূচি করতে দেবে না, বাধা দেবে। ভিন্নমত সহ্য করবে না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ তাদের কথা বলতেই থাকবে। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে।

 বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই জবরদখলকারী ফ্যাসিবাদী, অনির্বাচিত সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা যে ১০ দফা দাবি দিয়েছি সেই দাবি আদায় করার জন্য আমরা যে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছি। এ যুগপৎ আন্দোলনের মত বিনিময়ের অংশ হিসেবে আজকে আমরা ১২ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বসেছি।

এরপর যে সকল দল এবং জোট রয়েছে তাদের সঙ্গেও বসব।’ বৈঠকে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘এই অগণতান্ত্রিক সরকারবিরোধী সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা আজকে আমাদের মূল লক্ষ্য। সমস্ত সরকারবিরোধী শক্তি আজ মনে মনে সংকল্পবদ্ধ। সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে এই স্বৈরাচার সরকারকে পতন ঘটানো।

এনসি/

সর্বশেষ