বিপিএলের সাত অধিনায়ক
অনেক অসংলগ্নতার ছড়াছড়ি নিয়েই আজ শুক্রবার শুরু হচ্ছে বিপিএলের নবম আসর। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দিনের উদ্বোধনী ম্যাচটি মাঠে গড়াবে দুপুর আড়াইটায়। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল সিলেট স্ট্রাইকার্স ও নুরুল হাসান সোহানের দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
পরের ম্যাচে লড়বে বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্স। তার আগে দলের সাত অধিনায়ক বিপিএল নিয়ে নিজেদের ভাবনার কথা জানিয়েছেন।
ইমরুল কায়েস, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স
কুমিল্লা সব সময় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল করে। এ বছরও একই পরিকল্পনা। চেষ্টা করব এ বছরও শিরোপা ধরে রাখার জন্য। মাঠে ভালো খেলতে হবে। কাগজে কলমে যতো শক্তিশালীই হোন না কেন, মাঠে খেলতে না পারলে লাভ হবে না।
মাশরাফি বিন মুর্তজা, সিলেট স্ট্রাইকার্স
প্রত্যেকবারই খেলা শুরু হওয়ার পর তো খেলাটা ভালোই হয়। প্রতিযোগিতা থাকে। সবাই সবার দল নিয়েই ব্যস্ত থাকে। আশা করি, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলকই হবে। ফ্র্যাঞ্চাইজি চায় ভালো কিছু করতে। সব দলই চায় চ্যাম্পিয়ন হতে। আমরাও অবশ্য তার ব্যতিক্রম কিছু না। এটা তো আর বলে কয়ে হবে না। মাঠে ভালো করতে হবে। ওয়ান বাই ওয়ান ম্যাচ ভাবছি। কাল (শুক্রবার) যদি ভালো করতে পারি, এটা তো মোমেন্টামের খেলা। শেষের দিকে না তাকিয়ে আমরা শুরু থেকে ভালো করার চেষ্টা করবো।
মেহেদী হাসান মিরাজ, ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের পক্ষে
আমি তো একবারও চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। দুইবার ফাইনাল খেলেছি। অবশ্যই শিরোপা জেতার লক্ষ্য থাকবে। চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে তো অবশ্যই ভালো লাগবে।
শুভাগত হোম, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স
সবার যে লক্ষ্য, আমারও সেই লক্ষ্য। আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই মাঠে নামব। আমাদের শক্তি হলো টিম স্পিরিট। দল ভারসাম্যপূর্ণ। সেই হিসেবে আমরা আশা করতেই পারি।
নুরুল হাসান সোহান, রংপুর রাইডার্স
অবশ্যই আশা থাকবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। ট্রফি এখনও ধরিনি। যদি চ্যাম্পিয়ন হই, তাহলেই ধরব। আমাদের দল তরুণ, উদ্যোমী। দলে অনেক অলরাউন্ডার আছে। মাঠে একশ ভাগ দিলে ইনশা আল্লাহ ভালো কিছু হবে। অনুশীলন তো আমাদের জন্য ভালো সুযোগ। সময়সীমা ছিল না, ইচ্ছামতো নিজেদের মাঠে অনুশীলন করতে পেরেছি। কিন্তু ম্যাচ মিরপুরে, এখানে নিজেদের শতভাগ দিতে হবে।
নাসির হোসেন, ঢাকা ডমিনেটরস
সবার মতো আমরাও চাইবো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য। আমরা আশাবাদী, খুব ভালো কিছু করবো। এর আগেও আমি অধিনায়কত্ব করেছি। প্রত্যেক টুর্নামেন্টেই সবার চ্যালেঞ্জ থাকে। এটা আমাদের জন্য একটা সুযোগ। এখানে ভালো করলে সামনের ক্যারিয়ারেও ভালো হবে। এটাই মনোযোগ থাকবে, সাথে দল যেন ভালো ফল করে। আমার তো খুব সুন্দর লাগছে (অধিনায়ক হয়ে)। ওয়াও ফিলিংস, ক্যাপ্টেন আমি যেহেতু।
ইয়াসির আলী রাব্বি, খুলনা টাইগার্স
নার্ভাস না, এক্সাইটেড আসলে। জীবনের নতুন একটা জিনিস, তাও বিপিএলের মতো আসরে। চেষ্টা করব দলের জন্য ভালো কিছু করার। তামিম ভাইয়ের সাথে দল গঠনের পর থেকেই কথা হচ্ছে। অধিনায়ক হওয়ার পর তেমন কথা হয়নি। শুধু বলেছেন, আমাকে যখন তোর প্রয়োজন হবে, আমি পাশে আছি। তোর কোনো কিছু লাগলে আমাকে বলিস। অবশ্যই সাহায্য করব। তামিম ভাইকে তো ছোটকাল থেকেই দেখি। ভালোই লাগছে তামিম ভাইকে আমি লিড করব। এটা আমার জন্য অনেক গৌরবের, সম্মানের। তামিম ভাইয়ের মতো খেলোয়াড় আমার নেতৃত্বে খেলবেন।
এনসি/