বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ , ১১ বৈশাখ ১৪৩১

modhura
Aporup Bangla

কেটে নেওয়া হচ্ছে ফসলি জমির মাটি

দেশজুড়ে

অপরূপ বাংলা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:২৬, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩

সর্বশেষ

কেটে নেওয়া হচ্ছে ফসলি জমির মাটি

ছবি- ইন্টারনেট

পাবনা সদর, আটঘরিয়া, চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমি থেকে অনুমোদন ছাড়াই মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। দিনে এবং রাতে ভেকু মেশিন দিয়ে জমি খনন করে সেই মাটি বিক্রি করা হচ্ছে এলাকার কয়েকটি ইটের ভাটায়। এছাড়াও কেটে নেওয়া হচ্ছে নদীর মাটিও।

ট্রাক ও ট্রলিতে মাটি পরিবহন করায় ভেঙে যাচ্ছে রাস্তা। ধুলোবালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। গতকাল সোমবার দুপুরে চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের চিনাভাতকুর মৌজার কুজোর মোড় থেকে বিন্যাবাড়ি অভিমুখী সড়কের দক্ষিণ পাশে গিয়ে মাটি কাটার চিত্র চোখে পড়ে। এই স্থানে অনুমোদন ছাড়াই ভেকু মেশিন (এস্কেভেটর) দিয়ে মাটি কাটার কাজ চলছে গত তিনদিন ধরে।

পরে কেটে নেওয়া মাটি কয়েকটি মিনি ট্রাকে করে নেওয়া হয় পাশেরই একটি ইটের ভাটায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজমত আলী নামের এক ব্যবসায়ী অনুমোদন ছাড়াই ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আজমত আলী জানান, তার মাটি কাটার অনুমোদন নেই। অনুমোদন ছাড়া কিভাবে মাটি কাটছেন জানতে চাইলে কোনো উত্তর দিতে পারেননি তিনি।

একই উপজেলার বোয়াইলমারী, সোনাহার পাড়াসহ বিভিন্ন মাঠ থেকে মাটি ব্যবসায়ীরা মাটি কেটে বিক্রি করছেন বলেও জানা গেছে। গত শনিবার বিকেলে চিরইল বিলের একটি জমি খনন শুরু করেন বেসরকারি সংস্থা পিসিডির পরিচালক শফিকুল ইসলাম। পরে ওই এলাকার কৃষকরা অভিযোগ জানালে মাটি কাটার কাজ বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

এছাড়া সদর উপজেলার চরতারাপুর, দোগাছি, মালঞ্চি এবং আটঘরিয়া উপজেলার অভিরামপুর, ধলেশ্বর, সঞ্জয়পুর, শ্রীকান্তপুর, মাজপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে প্রশাসনের নাকের ডগায় ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। এসব এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ফসলি জমির মালিকরা স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চুক্তি করে মাটি বিক্রি করছেন। মাটি বহনকারী বিভিন্ন যানবাহনের দাপটে রাস্তাগুলোর ক্ষতি হচ্ছে।

পাশিপাশি মাটি বহন করার সময় ধুলাবালিতে সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষজনকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিক্রেতারা প্রতি পাওয়ার ট্রিলার মাটি বিক্রি করছেন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে। প্রতি মিনি ট্রাক ভর্তি মাটি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ২ হাজার টাকায়। মাটি বহন করার সময় এসব গাড়ির কারণে আশপাশের জমির ফসলও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

এসব বিষয়ে স্থানীয় কৃষকরা উপজেলা প্রশাসন কর্মকর্তাদের জানালে তারা কাজ বন্ধ করে দেন। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার শুরু হয় মাটি খননের কাজ। এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা খাতুন বলেন, ‘ফসলি জমির মাটি খননের খবর পেলেই আমরা তা বন্ধ করে দেই।

আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেই। এখনো মাটি খনন চলছে কিনা সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ পাবনা জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন বলেন, ‘অনুমোদন ছাড়া ফসলি জমির মাটি খনন ও বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। যারা করছেন তারা অনুমোদন না নিয়ে গোপনে করে থাকতে পারেন। প্রশাসনের তরফ থেকে যেখানেই অভিযোগ আসছে সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

এনসি/

সর্বশেষ