শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৪ চৈত্র ১৪৩০

modhura
Aporup Bangla

দুই ‘খানের’ সেঞ্চুরিতে শেষ হাসি চট্টগ্রামের

খেলাধুলা

অপরূপ বাংলা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:৫৫, ৯ জানুয়ারি ২০২৩

সর্বশেষ

দুই ‘খানের’ সেঞ্চুরিতে শেষ হাসি চট্টগ্রামের

ছবি- ইন্টারনেট

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে একই দিনে দুই সেঞ্চুরি হয়েছে। সোমবার মূলত দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মধ্যে লড়াই হয়েছে। এই লড়াইয়ে আজম খানের হাসি ম্লান করে দিয়ে শেষ হাসি হেসেছেন ওসমান খান। সাবেক ক্রিকেটার মঈন খানের ছেলে আজম খানের সেঞ্চুরিতে ১৭৮ রান করে খুলনা টাইগার্স। জবাবে খেলতে নেমে আরেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার ওসমান খানের সেঞ্চুরিতে ৪ বল আগে ৯ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

শুরুটা ধীরগতিতে হলেও আজম খানের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে খুলনা টাইগার্স ১৭৯ রানের লক্ষ্য দেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে। মাঝারি মানের এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করে চট্টগ্রাম। দুই ওপেনার মিলে ১৪১ রানের জুটি গড়ে ফেললে, জয়ের ভিত্তি পায় চট্টগ্রাম। আইরিশ ব্যাটার ম্যাক্স ও'ডাউড ৫০ বলে ৫৮ রান করে আউট হলেও চট্টগ্রামের জয়ে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি খুলনার কোনও বোলার। উল্টো সেঞ্চুরি করেন ওসমান খান।

পাকিস্তানের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে ওসমানের। তবে খুব বেশি ম্যাচ নয়। সাতটি টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে বিপিএল খেলতে বাংলাদেশে এসেছেন ২৭ বছর বয়সী এই ব্যাটার। ৭ ম্যাচে একবারই হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে পেরেছিলেন, খেলেছিলেন ৮১ রানের ইনিংস। বিপিএলে নিজের অভিষেক ম্যাচে ২ রান করেছিলেন।

দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেই করলেন বাজিমাত। ৩৪ বলে হাফসেঞ্চুরি ‍তুলে নেওয়ার পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেন ওসমান। ১৯তম ওভারে সাইফউদ্দিনের পঞ্চম বলে পয়েন্টের ওপর দিয়ে বিশাল ছক্কা মেরে ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ওসমান। ৩৪ রানে প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া ওসমান দ্বিতীয় পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ২১ বলে। সবমিলিয়ে ৫৮ বলে ১০ চার ও ৬ ছক্কায় ওসমান ১০৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ দিকে অবশ্য চাপে ফেলে দিয়েছিলেন আফিফ হোসেন।

বাঁহাতি এই ব্যাটারের কিছুটা স্লো ব্যাটিংয়ের অস্বস্তি বাড়ছিল চট্টগ্রামের। যদিও আইরিশ পেসার পল মিকেরেনের ছন্নছাড়া বোলিংয়ে ৪ বল আগেই ম্যাচ জিতে যায় চট্টগ্রাম। খুলনার বোলারদের মধ্যে একমাত্র উইকেটটি শিকার করেন নাহিদুল ইসলাম। বাকিরা কেউই প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া খুলনা শুরুতেই ২ উইকেট হারায়। টপ অর্ডারে শারজিল খান (৫) ও হাবিবুর রহমান সোহান (৬) ব্যর্থ হওয়ার পর ধীরগতিতে খেলতে থাকে খুলনা।

তার প্রভাবই ম্যাচে পড়েছে। তামিম ইকবাল ৩৭ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেললেও অর্ধেকের বেশি ডট বল খেলছেন। ৫৮ বলে আজম খান ১০৮ রানের ইনিংস না খেললেও খুলনার স্কোর দেড়শও পেরুতো না। এদিন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে তার ব্যাট যেন হয়ে উঠলো ধারালো তরবারি। প্রতিপক্ষ বোলারদের নাস্তানাবুদ করে ৫৮ বলে ১০৯ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে খুলনার স্কোরকে নিয়ে গেছেন ১৭৮ রানে। ৩৩ বলে ৫০ ছোঁয়ার পর পরের ৫০ তুলে নেন মাত্র ৫০ বলে।

তার এই ইনিংসে ছিল ৮টি ছক্কার মার। চার নম্বরে ব্যাটিং নামার পর থেকেই চট্টগ্রামের বোলারদের ওপর চড়াও হন পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার। ৫৮ বলে ৯ চার ও ৮ ছক্কায় ১০৯ রান করে শেষ পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন থাকেন তিনি। পুরো ইনিংসে মাত্র ১৮টি ডট বল দিয়েছেন। অর্থাৎ ৪০ বলে আজম ১০৯ রান করেছেন! তার এই ইনিংসের ওপর ভর করে খুলনা ১৭৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে আবু জায়েদ রাহী ২৯ রানে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া শুভাগত হোম, জিয়াউর রহমান ও বিজয়কান্ত একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এনসি/

সর্বশেষ