শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১

modhura
Aporup Bangla

পাকিস্তানে আরেক দফা বাড়ল জ্বালানির দাম

সারাবিশ্ব

অপরূপ বাংলা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:০৫, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩

সর্বশেষ

পাকিস্তানে আরেক দফা বাড়ল জ্বালানির দাম

ছবি- ইন্টারনেট

পাকিস্তানে ফের এক দফায় বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। রোববার (২৯ জানুয়ারি) দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ৩৫ রুপি করে বাড়িয়েছে। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার এই ঘোষণা দেন বলে রোববার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মার্কিন ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানের রুপির রেকর্ড দরপতন হয়েছে। এতে করে গত বৃহস্পতিবার ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি এই মুদ্রার দর দাঁড়িয়েছে ২৫৫ রুপিতে। অর্থাৎ এক মার্কিন ডলার সমান ২৫৫.৪৩ পাকিস্তানি রুপি। মূলত আর্থিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পেতে কার্যত মরিয়া হয়ে উঠেছে পাকিস্তান।

তাই শর্ত মেনে মুদ্রা বিনিময় হার বা এক্সচেঞ্জ রেট শিথিল করেছে দেশটি। আর এরপরই গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি মুদ্রার দামে ব্যাপক পতন হয়। আর এর জেরেই এবার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করা হলো। দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল বলছে, রোববার টেলিভিশনে ভাষণ দেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার। সেখানে তিনি বলেন, পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ৫০-৮০ রুপি বৃদ্ধির বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা-কল্পনা রয়েছে এবং এর জেরে দেশে কৃত্রিম জ্বালানি ঘাটতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার যেসব কারণে তাৎক্ষণিকভাবে পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম বাড়িয়েছে তার একটি হলো- জল্পনা। পাকিস্তানি এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার গুজবে দেশটির নাগরিকরা গত কয়েকদিন ধরে পেট্রোল স্টেশনে ভিড় করছিল। কিন্তু পাকিস্তানের তেল ও গ্যাস নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (ওজিআরএ) মানুষকে বিভ্রান্তিকর এবং ভুল তথ্য ছড়ানো বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে। ইসহাক দার বলেছেন, অস্থায়ী মজুদ এবং পেট্রোলের ঘাটতি সম্পর্কে ছড়িয়ে পড়া জল্পনা আটকাতে ওজিআরএ প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও সরকারকে অবিলম্বে নতুন মূল্য বাস্তবায়নের অনুরোধ করেছে।

পাকিস্তানের এই অর্থমন্ত্রী তার ভাষণে স্বীকার করেছেন, জ্বালানি তেল নিয়ে ছড়িয়ে পড়া জল্পনা-কল্পনা বাজারে কৃত্রিম ঘাটতি তৈরি করেছে। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলিয়ামের দাম ১১ শতাংশ বৃদ্ধির বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে।’ দার বলেন, গত বছরের অক্টোবর থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত গত চার মাসে একবারও দাম বাড়ানো হয়নি। তিনি দাবি করেন, প্রকৃতপক্ষে এই সময়ের মধ্যে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম ১৯ বা ২০ রুপি কমেছে।

তিনি আরও জানান, ওই সময়ের মধ্যে কেরোসিন তেল ও লাইট ডিজেল তেলের দাম ২৯ ও ৩০ রুপি কমেছে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানি মুদ্রার দামের ব্যাপক পতনের কারণে শুধু আর্থিক সংকট নয়, দেশটিতে খাদ্যদ্রব্যেরও ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। পাকিস্তানের বেশ কিছু অংশে এক প্যাকেট আটা ৩ হাজার রুপিতে পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে বলেও গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে।

এছাড়া সম্প্রতি ঘন ঘন ব্ল্যাকআউটও শুরু হয়েছে পাকিস্তানে। আর তাই খরচ কমাতে মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। দেশটিতে নতুন যে প্রস্তাব আনা হয়েছে তাতে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের বেতন ১৫ শতাংশ এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ১০ শতাংশ কমানোর কথা বলা হয়েছে। এমনকি মন্ত্রিপরিষদের সদস্য সংখ্যা ৩০ জনে নামিয়ে আনার সুপারিশও করা হয়েছে। বর্তমানে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের সদস্য সংখ্যা ৭৮ জন।

এনসি/

সর্বশেষ

জনপ্রিয়