সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ , ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

modhura
Aporup Bangla

মেঘনায় ট্রলারডুবিতে নিহত

৯ ছোট্ট রাইসুলের মরদেহ উদ্ধারে শেষ হলো অভিযান

দেশজুড়ে

অপরূপ বাংলা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:২৬, ২৫ মার্চ ২০২৪

সর্বশেষ

৯ ছোট্ট রাইসুলের মরদেহ উদ্ধারে শেষ হলো অভিযান

ছবি : সংগ্রহ

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার শিশুসন্তান রাইসুল ইসলামের (৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকালে পুলিশ সদস্য সোহেল রানা (৩৫) ও বেলন দে (৩৮) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

শিশু রাইসুলের মরদেহ উদ্ধারের মধ্য দিয়েই এ দুর্ঘটনায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত হলো। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯ জন।
ভৈরব নৌ থানার ইনচার্জ কেএম মনিরুজ্জামান চৌধুরী মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভৈরবে মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আটজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার দিনই এক নারীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে নিহত পুলিশ কনস্টেবল মো. সোহেল রানার বাবা মো. আব্দুল আলিম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। এতে ট্রলারটি ধাক্কা দেওয়া বাল্কহেডের সুকানি ও ইঞ্জিন মিস্ত্রিসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। তবে মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। মামলাটি ঘটনাস্থলের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানায় দায়ের করা হয়েছে। তবে নৌ পুলিশ তদন্তকাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি আসামিদের গ্রেফতার ও বাল্কহেডটি শনাক্তকরণে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

মেঘনায় ট্রলারডুবিতে নিহত ৯, ছোট্ট রাইসুলের মরদেহ উদ্ধারে শেষ হলো অভিযান

এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫), তার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রাইসুল (৫), ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দে’র স্ত্রী রুপা দে (৩০), তার ভাই টুটন দে’র মেয়ে আরাধ্য (১২) ও ভগ্নিপতি বেলন দে (৩৮) ও নরসিংদী জেলার বেলাব থানার দড়িকান্দি এলাকার দারু মিয়ার কন্যা আনিকা আক্তার (১৮)। ঘটনার দিন ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর এলাকার সুবর্না বেগম (৩২) ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মেঘনা নদীর শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে ২১ জন যাত্রী বহন করা পর্যটকবাহী একটি ট্রলারকে অজ্ঞাত একটি বাল্কহেড ধাক্কা দিলে এটি ডুবে যায়। ট্রলারের যাত্রীদের মধ্যে ১২ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ডুবে যাওয়া ট্রলারের ৮ যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

জ.ই

সর্বশেষ

জনপ্রিয়