ছবি : ইন্টারনেট
শুক্রবার ঢাকায় বিশ্ব ডিম দিবসের অনুষ্ঠানে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠদের ডিম খাওয়ানোর পর বর্তমানে আলোচিত এ পোল্ট্রি পণ্যের দাম, উৎপাদন ব্যয় ও ব্যবসায়ীদের বাজার নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে আলোচনার সময় এসব কথা বলেন।
‘প্রতিদিন একটি ডিম, পুষ্টিময় সারা দিন’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতিবছরের মত এবারও দেশে বিশ্ব ডিম দিবস উদযাপন করা হচ্ছে।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে সম্প্রতি হঠাৎ করে ডিমের দাম বাড়তে বাড়তে প্রতি ডজন দেড়শ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে ভোক্তা অধিকার ও প্রতিযোগিতা কমিশনের মত সরকারি প্রতিষ্ঠান অভিযান, শুনানি ও মামলার মত পদক্ষেপ নেয়। মাঝে দাম কমে ১২০ টাকায় নামলেও আবার তা বেড়ে প্রতি ডজন ১৪০ টাকা ছাড়ায়।
এর মধ্যেই ডিমের দাম নির্ধারণ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, যাতে প্রোল্ট্রি ও ডিম উৎপাদন খাতের বড় করপোরেট কোম্পানিগুলো ভূমিকা রাখে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে খামারি, ডিম বিপণন ও সরবরাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আড়ৎদার, এজেন্ট, ডিলাররাদের একে অপরের উপর দায় চাপানোর খবরও সংবাদ মাধ্যমে আসে।
এমন প্রেক্ষাপটের মধ্যে ফার্মগেইটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ডিম দিবসের আলোচনায় রেজাউল করিম বলেন, ডিমের মূল্য বৃদ্ধিতে কোথাও সিন্ডিকেট থাকলে সম্পৃক্তদের সঙ্গে কথা বলে তা দূর করা হবে। মনোপলি (একচেটিয়া) ব্যবসার মাধ্যমে ডিমের দাম নির্ধারণ করে জনগণকে জিম্মি করার কোনো ব্যবসায়িক প্রচেষ্টা যদি থাকে নিশ্চয়ই সরকার সেটা মেনে নেবে না।