শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ , ১২ বৈশাখ ১৪৩১

modhura
Aporup Bangla

দেরিতে হলেও স্বস্তি দিয়েছে কাঁচাবাজার

অর্থনীতি

অপরূপ বাংলা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:০৩, ১০ ডিসেম্বর ২০২২

সর্বশেষ

দেরিতে হলেও স্বস্তি দিয়েছে কাঁচাবাজার

ছবি- ইন্টারনেট

মাছ, মাংস, তেল, চাল, আটা, ময়দা চিনিতে নেই স্বস্তি। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি পণ্য। জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানোর পর থেকেই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পেড়েছে এসব পণ্য। বাজারের এই মূল্যনৈরাজ্যের মধ্যে শীতের সবজির মৌসুম শুরু হওয়ার পর একটু দেরিতে হলেও স্বস্তি দিয়েছে কাঁচাবাজার।

গত সপ্তাহে সবজির দাম ৬০ শতাংশ কমেছিল। কিন্তু আবার নতুন করে সবজির দাম ৪০ শতাংশ বেড়েছে। জানা গেছে, সরবরাহ বাড়লেও অনেক সবজির দাম নতুন করে বেড়েছে। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতারা পড়েছেন দুঃশ্চিন্তায়। ফুলকপি গত সপ্তাহে প্রতিটি ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

সাত দিনের ব্যাবধানে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গত সপ্তাহে বাজারে গোল বেগুন ভালো মানের প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সাত দিনের ব্যবধানে ২০ টাকা বেড়ে এখন ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লম্বা বেগুন ৪০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা, ২৫০ গ্রামের দাম ২০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৬০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ১০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, কাঁচা টমেটো প্রতিকেজি ৫০ টাকা, নতুন আলু ৫০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, দেশি গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা কেজি, ডায়ামন্ট আলু ৩০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, মুলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শসা ৭০ টাকা, লেবু ১৫ থেকে ২০ টাকা হালি, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, জালি কুমরা প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের দাম আগের মতোই রয়েছে।

দুই কেজি ওজনের নদীর পাঙ্গাশ ৬০০ টাকা, ছোট পাঙ্গাশের কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, রুই মাছ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, ছোট বোয়াল ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, ছোট টেংরা ৪০০ টাকা কেজি, টাকি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, ছোট কাতল ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, শোল মাছ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকা, ছোট রূপচাঁদা প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা, ছোট কাঁচকি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে এখন সাড়ে ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম ৫২০ টাকা, ৬০০ গ্রামের ইলিশ ৭৫০ টাকা, ৭০০ গ্রামের ইলিশ ৮৫০ টাকা এবং ৯০০-৯৫০ গ্রামের ওজনের ইলিশ ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম দেখা গেছে, পাইজাম চাল প্রতি কেজি ৫৮ টাকা, আটাশ চাল ৬০ থেকে ৬২ টাকা, নাজিরশাইল ৭৫ টাকা, হাসকি ২৯ প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬২ টাকায় বিক্রি করছি।

গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৮০-৭০০ টাকা, গরুর মাথা ৪০০ টাকা কেজি, খাশির মাংস ৯০০ টাকা কেজি, ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগির কেজি ২৬০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এখন প্রতিটি ডিম ১০ টাকা, এক হালি ৩৮-৪০ টাকা আর ডজন ১১০-১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত ২০ দিনের তুলনায় হালিতে ১০-১২ টাকা কমেছে।

তবে হাঁসের ডিম প্রতিটি ১৮ টাকা, হালি ৭০ টাকা এবং ডজন ২১০ টাকা। দেশি রসুন প্রতি কেজি ১০০ টাকা, রাজশাহীর পেঁয়াজ ৫০ টাকা, ইন্ডিয়ান শুকনা মরিচ ৫০০ টাকা, দেশি ডাল ১৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান মসুর ডাল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, আদা দেশি ১২০ টাকা, খোলা চিনি ১২০ টাকা, প্যাকেট চিনি ১২৫ টাকা, প্যাকেট আটা ৭০ টাকা, প্যাকেট ময়দা ৮০ টাকা ও খোলা আটা ৬৫ টাকা, খোলা ময়দা প্রতি কেজি ৭৫ টাকায় বিক্রি করছি। ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা এবং পাঁচ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৯২৫ টাকায়।

 ফলে বেচাকেনা কম হচ্ছে। সবজির দাম নতুন করে বাড়ার কারণ হচ্ছে বাজারে শীতের সবজি আসছে ঠিকই কিন্তু যানবাহন ভাড়া বেশি দিতে হচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে সবজির দাম বাড়াতে হচ্ছে। আর কাঁচাবাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম ওঠানামা করে সব সময়।

এনসি/

সর্বশেষ