দেশে ফিরেছেন রওশন এরশাদ, বিমানবন্দরে অনুসারীদের উচ্ছ্বাস

পাঁচ মাস চিকিৎসার পর আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় দেশে ফিরেছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের TG 321 বিমানযোগে ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।

কাজী মামুনুর রশীদ ছাড়াও রওশন এরশাদের সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে রংপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ ও পুত্রবধু মাহিমা সাদ। রওশন এরশাদ রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ বলেন, কিছুক্ষণ আগে মাডাম দেশে ফিরছেন। এখন ওয়েটিং রুমে আছেন। রোববার সকাল থেকে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জের সামনে অবস্থান নেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। রওশন এরশাদ ভিআইপি লাউঞ্জের বাইরে এলে মুহূর্মুহু স্লোগানে, করতালিতে দেশে স্বাগত জানান নেতাকর্মীরা। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে উপস্থিতি থেকে বিরোধী দলীয় নেতাকে অভ্যর্থনা জানান জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, বিরোধী দলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ, পার্টির সিনিয়র নেতা অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, এসএমএম আলম, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, সাবেক সংসদ সদস্য ও দলীয় চেয়ারম্যানের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, সাবেক সংসদ সদস্য এমএ গোফরান, সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মিলন, পার্টির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু ও জাতীয় ছাত্র সমাজের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান টিটুসহ অন্যান্য নেতারা। জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু না এলেও তার শিবির থেকে সিনিয়র কো চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ বিমানবন্দরে রওশন এরশাদকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। বিমানবন্দরে নির্ধারিত আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভিআইপি লাউঞ্জ গেইটে উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে শুরু করেছেন জাপার অভিভাবক রওশন এরশাদ। বিশ্ব পরিস্থিতি, দেশীয় রাজনীতি, দলে চলমান অস্থিরতা ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে পৌঁছানো বিভ্রান্ত তথ্যের বিষয়ে রওশন এরশাদ তার বক্তব্য তুলে ধরছেন। অসাধু ব্যবসায়ী চক্রের দূর্নীতি ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করে জনগণের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র প্রসঙ্গে কথা বলবেন তিনি। এসব বিষয় নিজ দলের সঠিক অবস্থান তুলে ধরবেন। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিন পর্যন্ত সড়ক দ্বীপ ও রাস্তার দু'পাশে লাগানো হয়েছে রংবেরংয়ের ব্যানার-ফেস্টুন। এছাড়া নগরজুড়ে লাগানো হয়েছে নানা রংয়ের ব্যানার-ফেস্টুন। দলীয় নেতাকর্মীদের নামে ছাপানো পোষ্টারও লাগানো হয়েছে নগরীর বিভিন্ন স্থানে।