ছবি সংগ্রহ
ভারতে জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (১৬ মার্চ) এই ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের নির্বাচন কমিশন (ইসিআই)।নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) রাজীব কুমার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১ জুন পর্যন্ত লোকসভার ৫৪৩টি আসনে সাত ধাপে নির্বাচন হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৪ জুন।
সিক্কিম, ওড়িশা, অরুণাচল প্রদেশ এবং অন্ধ প্রদেশে একইসঙ্গে লোকসভা এবং সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৮ সাল থেকে রাষ্ট্রপতির শাসনে থাকা জম্মু ও কাশ্মীরকে নির্বাচনের তালিকায় রাখা হয়নি।
এছাড়া বিভিন্ন রাজ্যের ২৬টি সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সময় ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজনৈতিক দলগুলোকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া খবর নিয়ে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, এসব ভুয়া খবরের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দিলেন অনুরাধা পোড়ওয়াল
এছাড়া জাতিগত বিদ্বেষ এবং ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদান করার ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক দলগুলোকে সতর্ক করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, “প্রচার-প্রচারণা হতে হবে ইস্যুভিত্তিক। কোনো বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেয়া যাবে না, ধর্মীয় কিছু উদ্ধৃতি করা যাবে না। কারো ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না।”
এছাড়া সংবাদমাধ্যমে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রদানের ক্ষেত্রেও তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন। কোনটি বিজ্ঞাপন আর কোনটি খবর সেটি স্পষ্ট করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এসব বিষয় নজরদারিতে রাখার জন্য কমিশন ২ হাজার ১০০ সদস্যের একটি পরামর্শক দল গঠন করেছে। যারা নিয়ম ভঙ্গ করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
আরো পড়ুন: তেলঙ্গানার সাবেক মন্ত্রী বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে
যেসব ভোটারের বয়স ৮৫ বছরের উপরে এবং যারা শারীরিকভাবে অক্ষম তারা চাইলে বাড়িতে থেকে ভোট দিতে পারবেন। বর্তমানে ভারতে ৮৫ বছরের উপরে ৮২ লাখ ভোটার রয়েছেন।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ৯৭ কোটি মানুষ ভোট দেয়ার জন্য যোগ্য। ভোটগ্রহণের জন্য ১০ লাখ ৫০ হাজার ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। নির্বাচন হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। এর জন্য ৫৫ লাখ ইভিএমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এটি ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। এবারের নির্বাচনের মধ্যদিয়ে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চায় ক্ষমতাসীন বিজেপি। গত সংসদীয় নির্বাচনে দলটি ৩০৩টি আসন নিশ্চিত করে।
যেখানে কংগ্রেস মাত্র ৫২টি আসন পায়। অর্থাৎ লোকসভায় বিরোধী দলের নেতার পদ দাবি করার মতো পর্যাপ্ত সংখ্যাও অর্জন করতে পারেনি। এবার বিজেপিকে উৎখাত করতে বড় জোট গড়েছে কংগ্রেস।
জ. ই