শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

modhura
Aporup Bangla

আর্নেস্ট হেমিংওয়ের আইসবার্গ তত্ত্ব

শিল্প-সাহিত্য

হাফিজ শম্ভু

প্রকাশিত: ১৩:২৫, ১২ অক্টোবর ২০২২

আপডেট: ২১:০৭, ১২ অক্টোবর ২০২২

সর্বশেষ

আর্নেস্ট হেমিংওয়ের আইসবার্গ তত্ত্ব

ছবি : ইন্টারনেট

আমরা জানি আর্নেস্ট মিলার হেমিংওয়ে একজন মার্কিন সাহিত্যিক। তার ধ্রুপদী সাহিত্য নতুন দিগন্ত এনেদিয়েছিল।  তার আইসবার্  তত্ত্ব নির্মেদ ও নিরাবেগী লেখনী বিংশ শতাব্দীর কথাসাহিত্যের ভাষাশৈলীতে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। বিংশ শতাব্দীর বিশের দশকের মাঝামাঝি থেকে পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়ে তিনি তার অধিকাংশ সাহিত্যকর্ম রচনা করেছিলেন এবং ১৯৫৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছিলেন। তিনি সাতটি উপন্যাস, ছয়টি ছোটগল্প সংকলন এবং দুইটি অকল্পিত সাহিত্য গ্রন্থ প্রকাশ করেছিলেন। তার মৃত্যুর পরে আরও তিনটি উপন্যাস, চারটি ছোটগল্প সংকলন এবং তিনটি অকল্পিত সাহিত্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল। তার প্রকাশিত গ্রন্থের অনেকগুলোই মার্কিন সাহিত্যের ধ্রুপদী বা চিরায়ত গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হয়।

একদিকে যেমন সাহিত্যের মেদ ঝড়িয়েছেন অন্যদিকে তার রোমাঞ্চপ্রিয় জীবন ও ভাবমূর্তি পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তাকে প্রশংসিত করে তোলে তাকে। 

আইসবার্গ তত্ত্ব বা বাতিলের তত্ত্ব হল  আর্নেস্ট হেমিংওয়ের উদ্ভাবিত লেখনীর কৌশল। তরুণ সাংবাদিক হিসেবে হেমিংওয়েকে কোন ঘটনা ঘটার পরপরই সংবাদপত্রে প্রতিবেদন লিখতে হত, যেখানে খুবই অল্প বিষয় বা ব্যাখ্যা থাকত। যখন তিনি ছোটগল্প লেখা শুরু করেন, তিনি তার এই অল্প কথায় বর্ণনা অব্যাহত রাখেন। তিনি অন্য বিষয়গুলোর ব্যাখ্যায় না গিয়ে মূল বিষয়ে মনোযোগ দেন। হেমিংওয়ে বিশ্বাস করতেন যে একটি গল্পের গভীর অর্থ এর ঘটনার দালিলিক প্রমাণে নয়, বরং ইশারা-ইঙ্গিতের মাধ্যমে এর ব্যাখ্যা প্রদানে নিহিত।

 

সর্বশেষ