ছবি/ সংগ্রহ
ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬২ জনে। আর নতুন আক্রান্তসহ বর্তমানে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা তিন হাজার ৬৬০ জন।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৪৯৮ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৩২৫ জন এবং ঢাকার বাইরে ১৭৩ জন। নতুন আক্রান্তসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৬৬০ জনে।
অধিদপ্তরের তথ্যমতে— চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪১ হাজার ৪৮১ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ২৭ হাজার ৯৭১ জন এবং ঢাকার বাইরে রয়েছেন ১৩ হাজার ৫১০ জন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৬৫৯ জন।
চলতি বছরের ২১ জুন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রথম মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা যায়নি। তবে ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। তার মধ্যে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার ডেঙ্গুতে রেকর্ড নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থায় সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিনামূল্যে সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন সরকার।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানী একটি হোটেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম এ তথ্য জানান।
আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে সারাদেশে সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন হয়েছে।’
তবে রাজধানীর একাধিক হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেওয়া এই নিদের্শনা মানছে না ঢাকার হাসপাতালগুলো। রোগীদের ওষুধও কিনতে হচ্ছে বাইরে থেকে। দেওয়া হচ্ছে না মশারি।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোনো ঘাটতি নেই। উপজেলা-জেলা পর্যায়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। ডেঙ্গু পরীক্ষার ফলাফল সরকারি হাসপাতালে বিনেমূল্যে দেওয়া হচ্ছে।
উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একসঙ্গে কাজ করছে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।