রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

modhura
Aporup Bangla

সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা

পাকিস্তান সরকারের সম্মাননা গ্রহণে যেতে পারছেন না শবনম

বিনোদন

অপরূপ বাংলা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:০৪, ১৫ মার্চ ২০২৪

সর্বশেষ

পাকিস্তান সরকারের সম্মাননা গ্রহণে যেতে পারছেন না শবনম

শবনম

বড় পর্দায় বড় আয়োজনে নিজেকে মেলে ধরেতে ঢাকার মেয়ে শবনম গিয়েছিলেন তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে। এরপর একের পর এক কাজ দিয়ে তাক লাগিয়ে নিজের অবস্থান পোক্ত করেছেন। দেশটির ইন্ডাস্ট্রির চালিকাশক্তিতে পরিণত হয়েছিলেন ঢাকায় জন্ম নেওয়া শবনম।

তার ওপর প্রচুর লগ্নি থাকায় দেশের মাটিতে ফিরতে পারেন এমন আশঙ্কায় কঠিন নজরদারিতে রাখা হয় ১৯৭১ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত। অতপর জন্মভূমিতে ফেরেন। এরপর আশা যাওয়ার মধ্যেই থেকেছেন শবনম। ততোদিনে পাকিস্তানের ইন্ডাস্ট্রি শবনম নির্ভরতায় আচ্ছন্ন। ১৩টি নিগার আর তিনটি জাতীয় পুরস্কারও শবনমকে পাকিস্তানে স্থায়ী হতে উৎসাহী করেনি। তিনি ফিরেছেন আপন ভূমিতে।

তার বক্তব্য, আমি কাজ করতে পূর্ব থেকে পশ্চিমে গিয়েছিলাম। সেটা করেছি। কাজ শেষে নিজের জন্মস্থানে ফিরেছি। ওখানে যতদিন ছিলাম ততোদিন এখানকার মতো মাছ, শাক, শুঁটকি খেতে পারিনি। এখন পারছি। এই যে পারছি এটার জন্যই ফিরেছি।’

তিনি ফিরলেও তাকে ভুলে যায়নি পাকিস্তান। তারা বিভিন্ন উৎসব পার্বনে শবনমকে স্মরণ করে। এরমধ্যে পিটিভি ও লাক্স লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কারও তিনি ঝুলিতে পুরেছেন। প্রধান অতিথি হয়ে আমন্ত্রিত ছিলেন করাচি লিটারেচার উৎসবেও।

কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পাকিস্তান সরকার সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার সিতারা-ই-ইমতিয়াজ-এ শবনমের নাম ঘোষণা করে। আগামী ২৩ মার্চ রাজধানী ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণের জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

কিন্তু অজানা কারণে কালক্ষেপণ হওয়ায় শবনমের পাকিস্তান যাওয়া প্রায় অনিশ্চিত। এ নিয়ে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, দেশের মাটিতে সম্মান পাই না পাই কাজ শেষে দেশেই ফিরেছি। আমি কোনো গাদ্দার ছিলাম না, কেউ বলতে পারবে না দেশের বদনাম করেছি কোথাও। যেখানে কাজ করেছি তারা আমাকে ভালোবেসে একটা বড় পুরস্কারের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, এটা গ্রহণে অনুমতির অভাবে যেতে পারবো না, ভাবতেই মনটা খারাপ লাগছে।’

শবনম আরও বলেন, ‘পুরস্কারটি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নিজেও অবগত বলে পাকিস্তান দূতাবাস আমাকে জানিয়েছেন। এ খবরে তিনি বেশ খুশিও হয়েছিলেন বলে শুনেছি। তারপরও কেন আমার সঙ্গে এমন আচরণ করা হচ্ছে আমি জানি না।’

এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার কাছে ফোন দিয়েও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। যে কারণে ধরে নেওয়া যায় পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার গ্রহণে শবনম যেতে পারছেন না।

জ. ই

সর্বশেষ

জনপ্রিয়