সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ , ২৯ বৈশাখ ১৪৩১

modhura
Aporup Bangla

কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণে তাগিদ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়

অপরূপ বাংলা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:১১, ১২ অক্টোবর ২০২২

আপডেট: ১৮:১২, ১২ অক্টোবর ২০২২

সর্বশেষ

কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণে তাগিদ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

দেশে যে একশ শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে, তার মধ্যেই কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা এবং সংরক্ষণাগার নির্মাণের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।   বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৫ ও ১৪২৬’ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিও কনাফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে তিনি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। 

কৃষি জমি বাঁচাতে যত্রতত্র শিল্প কারখানা যাতে গড়ে না ওঠে– সে লক্ষ্য নিয়েই দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রীরে উদ্দেশেতিনি বলেন, “আমার কথাটা হচ্ছে, যে অঞ্চলে যে জিনিসটা সব থেকে বেশি উৎপাদিত হচ্ছে আমাদের, এটা কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবেও আছে যে কোন তরকারিটা কতটুকু টেমপারেচারে ভালো থাকবে। সেইভাবে আমাদের সংরক্ষণাগার গড়ে তুলতে হবে, যাতে পণ্যটা যখনই কৃষকরা করবে, সাথে সাথে যেন বাজারজাত করতে পারে এবং এটা সংরক্ষণ করতে পারে।” 
কৃষি পণ্য সংরক্ষণ করা সম্ভব হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে। সেজন্য এ কাজে অর্থায়নের টাকা আলাদা করে রাখা হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানান শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেন, “বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলেই আলাদা প্লট নিয়ে এই কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাত করা অথবা সংরক্ষণাগার তৈরি করার সুযোগ আছে। আর এটা তৈরি করার জন্য যে ফান্ড লাগবে, সেই ফান্ড আমি দেব।” 


আমদানি নির্ভর ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, “আমাদের সব সময় এটা মাথায় রাখতে হবে যে আমরা কখনো আমদানিনির্ভর হব না। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াব। একটা দুটা পণ্যের ওপর নির্ভর করব না।  

“রপ্তানিপণ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমি মনে করি কৃষি পণ্য সব থেকে বেশি অবদান রাখতে পারে। সেদিকে আমরা ব্যবস্থা নিই।” 

বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে কোভিড মাহমারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধকে দায়ী করেন শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ডিজেল, এলএনজি, সার, ভোজ্য তেল, গমসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করতে হয়। সেইক্ষেত্রে আমি অনুরোধ করব যে আমাদের নিজেদের পণ্য উৎপাদন যেমন বাড়াতে হবে। আর ইতোমধ্যে আমার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। জাতিসংঘের নেতৃত্বে পণ্য কেনার উদোগ নিয়েছি…।“ 

“যেমন কানাডার থেকে যাতে আমরা গম আনতে পারি বা আমরা সার আনতে পারি… সেই ব্যবস্থা। কিন্তু এখন আমরা কিন্তু রাশিয়া থেকে বা ইউক্রেইন থেকে, বেলারুশ থেকে, বিভিন্ন জায়গা থেকে আমরা সব পণ্য এখন আনতে পারব। এটা আমাদের জাতিসংঘের জেনারেল সেক্রেটারি একটা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি যে চ্যাম্পিয়ন গ্রুপ, সেই গ্রুপে আমরা ছিলাম। আমি যে আছি, কাজেই সেভাবে আমরা একটা ব্যবস্থা নিতে পেরেছি।“ 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পণ্যের দাম বাড়ার পাশাপাশি পরিবহনের খরচও অতিরিক্ত চাপ তৈরি করেছে।তারপরও দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণে কৃষকদের ভর্তুকি দেওয়া অব্যাহত রেখেছে সরকার।  

দেশের কৃষি ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও কৃষকদের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেওয়া নানা উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। কোভিড সংক্রমণ থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে সবাইকে টিকা নেওয়ারও আহ্বান জানান। 

ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার বিতরণ করেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.সায়েদুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে শারমিন আক্তার তার অনুভূতি প্রকাশ করেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাফল্য ও এর কার্যক্রমের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় অনুষ্ঠানে।

জা,ই

সর্বশেষ

জনপ্রিয়