বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ২ আশ্বিন ১৪৩১

modhura
Aporup Bangla

ব্যাংক একীভূতকরণ : সবলের ঘাড়ে চাপবে দুর্বল

মতামত

টুটুল রহমান

প্রকাশিত: ১৪:১৮, ১ জুলাই ২০২৪

সর্বশেষ

ব্যাংক একীভূতকরণ : সবলের ঘাড়ে চাপবে দুর্বল

ছবি সংগ্রহ

একটি গল্প দিয়ে লেখাটা শুরু করি।  বছর পাঁচেক আগে এবটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সিবিএ নেতা মানে ব্যাংকের তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী তার মেয়েকে ধুমধাম করে বিয়ে দেন। রাজধানীর একটি অভিজাত কনভেশন সেন্টারে। ওই অনুষ্ঠানে তার জেলা-উপজেলার গণ্যমান্যরা ছাড়াও, সরকার দলের নেতা, এমপিরা উপস্থিত ছিলেন। ধারণা করা হয় ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রায় অতিথিদের জন্য এক কোটি টাকা খরচ করা হয়েছিল। হিরে আর জহরতে আগাগোড়া মোড়ানো তার মেয়েকে সাজাতে  আরো এক কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। এটা ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা। সে যাই হোক আদরের মেয়ে খরচ একটু বেশিই করেছেন। কিন্তু এতো অর্থেও উৎস কোথায়? প্রশে^র উত্তর মেলেনি। তবে ওই ব্যাংকের যে ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেংকারীর কথা ফাঁস হয়েছিল ওই কেলেংকারীতে সিএবিএ নেতার নাম ছিল। ইতোমধ্যে তিনি অবসরে গেছেন। দিব্যি আরাম আয়েশে দিন কাটাচ্ছেন। এই গল্প ব্যাংকিংখাতে মুখে মুখে ছড়িয়ে আছে। একজন সিবিনেতার আয়ের সাথে এই অনুষ্ঠান সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। 
ব্যাংকিংখাতে রিপোটিং করতে গিয়ে দেখেছি সিবিএ নেতাদের কি দাপট? জোট সরকারের আমলেও সেই দাপট দেখিয়ে গেছেন এক সিবিএ নেতা। অনেক কেলেংকারীর দায় মাথায় নিয়ে তাকে জেল খানায় মরতে হয়েছিল। বেশ কয়েকটি ঋণ কেলেংকারীর হোতা ছিলেন। 
একটা সময় ছিল সিবিএ নেতাদের কমিশন না দিলে ঋণ অনুমোদন হওযার পরেও  একাউন্টে টাকা যেতো না। এমনকি ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের মধ্যেও কমিশন নেয়ার নজির আছে। 
এতো গেলো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অনিয়মের একটা দিক।  আর বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান তো ঋণ অনুমোদনের ধারও ধারতেন না। বস্তায় বস্তায় টাকা সরাতেন। টাকা পাচার করতেন। 
ব্যাংকিট সেই যে খাদে পড়েছে আর  উঠতে পারেনি। অপধারীদেরও এখনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি।  বেসরকারি ব্যাংকের আরেক চেয়ারম্যান ঋণ অনুমোদনে বোর্ডের অনুমোদনের প্রয়োজন মনে করেননি। ইচ্ছে মতো একে ওকে টাকা ঋণ দিয়ে কমিশন নিয়েছেন। ওই ব্যাংকের কলঙ্ক ঢাকতে নাম পরিবর্তন করা হলো। নাম পরিবর্তন করা হলেও স্বভাব পরিবর্তন করা যায়নি। আরো অনেক কেলেংকারী আছে ব্যাংকখাতের যার একটিরও সুরাহা হয়নি। এই জালিয়াতির মধ্যে ঋনপত্র খোলার নামে অনেক ব্যাংক টাকা পাচারের সাথে জড়িত ছিল। কোনো ব্যাংকের কর্মকর্তরা ডলার পাচারের অভিযোগে পদও খুইয়েছেন। 
এতোসব কেলেংকারী বাংলাদেশ ব্যাংক শুধু দেখেই গেছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বড় বড় শিল্পপতিদের ঋণগুলো আঙ্গুলের ইশারায় কখনো রি-সিডিউল করেছে আবার কখনো পুর্নগঠন করেছে। এতে বড় বড় ঋণখলাপিরা উৎসাহ পেয়েছে। ছোটরা ঋণ পেতে কাগজপত্র জমা দিতে দিতে গলদঘর্ম হলেও বড়দের ঋণ নিতে কাগজপত্রের তেমন কোনো বালাই ছিল না।  এইতো বছর খানেক আগে একটি ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংক নামসর্বস্ব একটি প্রতিষ্ঠানকে ৯০০  কোটি টাকা ঋণ দিয়ে বিপাকে পড়ে। অনুসন্ধানে দেখা গেলো ওই প্রতিষ্ঠান যে ঠিকানা ব্যবহার করেছে সেখানে অফিস তো নেইই ওই প্রতিষ্ঠানেরই কোনো অস্তিত্ব নেই। 
এই কথাগুলো বলছি এ কারণে যে, এতো লোকবল, এতো কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ থাকার পড়েও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যবেক্ষনে এই অনিয়মগুলো সংগঠিত হওয়ার আগে কেন চিহ্নিত হয় না। হলেও কখনো দায় তারা নিতে চায় না। ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকে।
সাম্প্রতিক এক গবেষনায় এসেছে তিন গভর্নরের আমলে সব চেয়ে বেশী ঋণ খেলাপি হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনই  সরকারের আমলা ছিলেন। অন্যদিকে এক গর্ভনরের আমলে রিজার্ভও চুরি হয়ে গেছে। 
২০২২ সালের ১২ জুলাই দায়িত্ব নেন আব্দুর রউফ তালুকদার। ওই সময় অর্থাৎ ২০২২ সালের জুন শেষে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণের আকার ছিল এক লাখ ২৫ হাজার ২৫৭  কোটি টাকা, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ৯ শতাংশ। অর্থাৎ আব্দুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব  নয়ার দেড় বছরের মাথায় ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২০ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা।
আব্দুর রউফ তালুকদারের আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্বে ছিলেন ফজলে কবির। তিনি দুই মেয়াদে সাত বছর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন। তার দুই  মেয়াদে সবচেয়ে বেশি ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ বেড়েছে, যার পরিমাণ ৬৫ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা। তিনি গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেন ২০১৬ সালের ২২ মার্চ। ওই সময় ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৯ হাজার ৪১১ কোটি টাকা। তার দুই মেয়াদের দায়িত্ব শেষ হয় ২০২২ সালের ৩ জুলাই। অবসরে যাওয়ার আগে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ দাঁড়ায় এক লাখ ২৫ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা।
ফজলে কবিরের আগে ২০০৯ সালের ১ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের দশম গভর্নর হিসেবে যোগ দেন ড. আতিউর রহমান। প্রথম মেয়াদে চার বছর পূর্ণ হলে সরকার তার মেয়াদ আরও বাড়ায়। তার প্রথম মেয়াদের চার বছরে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পায় প্রায় ২০ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। দ্বিতীয়বার আরও চার বছরের জন্য দায়িত্ব পেলেও মেয়াদ শেষ করতে পারেনি তিনি। রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তাকে আগেই পদত্যাগ করতে হয়।
তার দুই মেয়াদে ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণ বেড়েছিল ৩৬ হাজার ৯৩১ কোটি টাকা। তিনি দায়িত্ব নেয়ার সময় ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা। পদত্যাগ করার সময় ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ রেখে যান ৫৯ হাজার ৪১১ কোটি টাকার। ব্যাংক খাতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেলাপি ঋণ বেড়েছিল এ গভর্নরের আমলে।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০০৫ সালের ১ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেন। ওই সময় ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার ৫১০ কোটি টাকা। তিনি বিদায় নেন ২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল। বিদায় নেয়ার সময় ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই গভর্নরের আমলে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ বেড়েছিল চার হাজার ৯৭০ কোটি টাকা।
ঋণ কেলেংকারী, অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও ইমেজ সংকট নিয়ে  অনেক ব্যাংক এখন আর ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পারছে না। দিনের পর দিন লোকশান গুনতে গুনতে এগুলো এখন দেউলিয়ার হওয়ার পথে। এসব ব্যাংকের বেশির ভাগই নতুন ব্যাংক। যেগুলোকে লাইসেন্স দেয়ার আগে দেশের অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা সর্তক করেছিলেন। কারো কোনো কথা কানে তোলা হয়নি। এই দেশের অর্থনীতির তুলনায় ৬২ টি ব্যাংক অভাবনীয়। তাছাড়াও অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে  নাকাল ব্যাংকগুলো হাঁসফাঁস করছে। 
এরই মধ্যে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে বাঁচানোর উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বাঁচানো বলতে সবল ব্যাংকের ঘাড়ে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে চাপিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয় ব্যাংক একীভূত করার নামে। এমনটি পদ্মা ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে মার্চ মাসে একটি চুক্তিও সই করা হয়। আরো অন্তত এক ডজন ব্যাংক তালিকায় রয়েছে। 
কিন্তু গর্ভনরের  এই একক উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে। গভর্নও গত মাসে ইউনাইটেট কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংক ও বিশেষায়িত বেসিক ব্যাংককে সিটি ব্যাংকের সাথে একীভূত করার ঘোষনা দেন। কিন্তু এক সময়ে ঐতিহ্যবাহী ন্যাশনাল ব্যাংক ইউসিবিএল ব্যাংকের সাথে একীভূত হওয়ার ব্যাপারে আপত্তি তুলেছে। তাদের পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা কোনো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হবে না। নিজেরা ঋণ খেলাপি কমিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে। বেসিক ব্যাংক বলছে, তারা সরকারি প্রতিষ্ঠান হয়ে কোনো বেসরকারি ব্যাংকের সাথে একীভূত হতে চায় না। ব্যাংকগুলো বলছে, গভর্নর একক ভাবে এসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এমন কি একীভূত করার বিষয়ে গভর্নর যে বৈঠক করেছেন সেখানেও ন্যাশনাল ব্যাংকের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। যার ফলে একীভূত বা অধিগ্রহন যে নামেই ডাকা হোক না কেন সেটি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর। 
এখন প্রশ্ন হচ্ছে হঠাৎ কেন এই উদ্যোগ? কারা এতে লাভবান হবে। বিশজুড়ে ব্যাংক একীভূত করার নিয়মই বা কি?
বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত ঋণ খেলাপি ও কেলেংকারীর হোতাদের বাঁচাতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে লাভ তাদেরই। লাভ দুর্বল ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডারদের। তারা শেয়ারের ভালো দাম পাবেন। অন্যদিকে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে টেনে তুলতে সবল ব্যাংকগুলোর অনেক সময়, দক্ষতা ও শ্রম দিতে হবে। যার ফলে তাদের মুনাফায় টান পড়বে। সবল ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডারদেও মুনাফা কমে যাবে। এতে ব্যাংক খাতের শৃংখলা নষ্ট হবে। শুধু তাই নয়, কারো চাকরি না গেলও দুর্বল ব্যাংকের এমডি কিন্তু আর থাকছেন না। তিনি কোন পদে বহাল হবে না তার চাকরি থাকবে কিনা সেটাও একটা বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দেখে। ইতোমধ্যে দুএকটি ব্যাংকের এমডি এমন অপমানজনক অপসারণের হাত থেকে বাঁচতে পদত্যাগ করেছেন এবং অন্য ব্যাংকে যোগ দিয়েছেন। 
বিষয়টি নিয়ে টিআইবির বক্তব্য হচ্ছে, একীভূতরকরণের মাধ্যমে খেলাপি ঋণে জর্জরিত দুর্বল ব্যাংকের মন্দ ঋণ ব্যবস্থাপনা এবং জবাবদিহিসংক্রান্ত বিষয়গুলোতে যে ধরনের অস্পষ্টতা তৈরি করা হয়েছে, তা সংকটের মূল সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে ঋণ খেলাপি ও জালিয়াতির জন্য দায়ী মহলকে 'দায়মুক্তি' প্রদানের ‘নামান্তর। 
টিআইবি আরো বলছে, ব্যাংকিং খাতের দুর্বল ব্যাংকগুলো রক্ষার নামে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একীভূতকরণের পথে হাঁটতে শুরু করেছে, যা আর্থিক খাতে সংকট মোকাবিলায়   বৈশ্বিক চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিবেচিত হওয়ার কথা। কিন্তু সংবেদনশীল ও জটিল এই কাজটি করতে আন্তর্জাতিকভাবে অনুসৃত মানদন্ড ও রীতিনীতি এবং এমনকি  কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজের ঘোষিত নীতিমালা না মেনে তড়িঘড়ি করা হচ্ছে। স্বেচ্ছাচারীভাবে চাপিয়ে দেওয়া কয়েকটি ব্যাংক একীভূতকরণের ঘোষণা এবং এ প্রক্রিয়ায় থাকা ভালো ব্যাংকগুলোর অস্বস্তি, একীভূত হতে  কোনো কোনো দুর্বল ব্যাংকের অনীহা, সব মিলিয়ে ব্যাংকিং খাতে শঙ্কা, অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা গভীরতর করেছে।
শেষ কথা হচ্ছে, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকগুলোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার নামে অপরাধীদের আড়াল করার এই উদ্যোগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে বেরিয়ে আসতে হবে। ঘুরেফিরে বারবার ব্যাংক কেলেংকারীতে যাদের নাম  আসছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ‘ বেইল আউট’ পদ্ধতির মধ্যে অর্থ সহায়তা দিয়ে সেখানে সুশাসন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে হবে। বিশ্লেষন করলে অবশ্যই বোঝা যাচ্ছে এই মুহুর্তে ব্যাংক একীভূত করার উদ্দেশ্য মোটেও সৎ নয়। ব্যাংকের ঋণ কেলেংকারী বেড়ে যাওয়া, মন্দ প্রতিষ্ঠান ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বাংকরেও অদক্ষতা রয়েছে। সেটা ঢাকতে ও অপরাধীদের বাঁচাতে একীভূত কার্যক্রম তাই শুরুতেই হোচট খেয়েছে। অতীতের মতো অপরাধীতের পার পাইয়ে দেয়ার সংস্কৃতি থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বেরিয়ে আসতে হবে। 

 লেখক : সম্পাদক, অপরূপ বাংলা 
 

জ.ই

সর্বশেষ

জনপ্রিয়